প্রকাশিত: Sat, Dec 16, 2023 12:09 AM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 4:35 AM

[১]ভারতকে বিদায় করে বাংলাদেশ ফাইনালে শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ আমিরাত

সাঈদুর রহমান: [২] চলতি বছরের আগস্টে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন সাকিব-মুশফিকরা। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আসর থেকে ছিটকে যান সিনিয়র টাইগাররা। তবে বড় ভাইরা যা করতে পারেনি, তা করে দেখালেন জুনিয়র টাইগাররা। বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় উদযাপন করার উপলক্ষ্য তৈরি করলো তারা। তার জন্য রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

[৩] টানা তিন জয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সেই জয়ের ধারা বজায় রেখে সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, আরেক সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১১ রান হারিয়েছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। 

[৪] ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় ব্যাটাররা। ১৮৮ রানে অলআউট হয় তারা। এতে বাংলাদেশের যুবাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ৪৩ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজের দল। এতে টানা জয়ে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলো তারা। ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন  বাঁ হাতি পেসার মারুফ মৃধা।

[৫] জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিান আলম। জিসান খালি হাতে ফেরেন। ৭ রান করে আউট হন শিবলি। ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি রিজওয়ানও। ১৩ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। 

[৬] এরপর হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। দুজনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তৃতীয় জুটি থেকে আসে মূল্যবান ১৩৮ রান। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতেই আউট হন আরিফুল। ডান হাতি ব্যাটার আরিফুল ৯০ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন ৯৪ রান।  

[৭] শেষ দিকে শিহাব ৯ রানে আউট হলেও, আহরার আমিনের ৪৪ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। 

[৮] এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারতীয় ওপেনার আদর্শ সিং ও আরশিন কুলকারনি। ২ রানে সিং এবং ১ রানে সজঘরে ফেরেন কুলকার্নি। শচীন দাস ১৬ রানে আউট হন। ১৯ রান করে ফেরেন প্রিয়াংশু মোলিয়া। এরপর আরভেলি অবনীশ শূন্য রান আউট হলে চাপে পড়ে ভারত। 

[৯] তবে মুরুগান অভিশেককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মুশির খান। ৬১ বলে নিজের ফিফটি পূরণের পর আউট হন মুশির। ৭৪ বলে করেন ৬২ রান। পানডে ১ ও নামান টিউয়ারি ৬ রানে আউট হলে ভারতের ইনিংস থেমে যায়।

[১০] বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা। রোহনাত দুল্লাহ বর্সোন ও পরভেজ জীবন দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না